,

উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশন এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজারঃ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলায় তরুণ প্রজন্মকে একত্রিত করে গঠিত আধুনিক সামাজিক সংগঠন “উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশন” এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানটি ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার রাতে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উখিয়া সদরের জলিল প্লাজা (হোটেল আরাফাত এর ২য় তলায়) নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল এক স্মরণীয় মুহূর্ত, যেখানে উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশন সংগঠনটি তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২৫শে আগস্ট ২০২৪ ইংরেজি তারিখে, এবং এর লক্ষ্য হলো সমাজের সকল শ্রেণির মধ্যে ঐক্য, সততা, মানবিক মূল্যবোধ এবং উন্নয়নের প্রচার করা। উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্য হলো তরুণ সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করা এবং তাদেরকে সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজে লাগানো। তারা মনে করে, যুব সমাজের মধ্যেই রয়েছে সমাজ পরিবর্তনের শক্তি। এই ফাউন্ডেশন তরুণদের মধ্যে ঐক্য, সততা এবং মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবে এবং সমাজে একটি শক্তিশালী সামাজিক ভিত্তি গড়ে তুলবে। অনুষ্ঠানটি পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। কোরআন তেলওয়াত করেন হাফেজ মোঃ রেজাউল করিম। তার তেলওয়াতে উপস্থিত সকল সদস্যের মধ্যে এক পবিত্র অনুভূতি এবং সংগঠনের প্রতি একাগ্রতা সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম হান্নান, এবং সভাপতিত্ব করেন উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম। আয়োজক হিসেবে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শাকুর মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়েদ মনাজের আহসান, বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ শাফি, ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক শাকুর মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ শাফি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশন” শুধুমাত্র একটি সামাজিক সংগঠন নয়, এটি একটি পরিবার। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে একত্রিত হয়ে সমাজের কল্যাণে কাজ করবো। আমাদের মূল উদ্দেশ্য তরুণদের মধ্যে ভালোবাসা, ঐক্য এবং মানবিকতার বাণী পৌঁছে দেওয়া। আমরা চাই এই সংগঠন সমাজে একটি শক্তিশালী পরিবর্তন নিয়ে আসুক। শাকুর মাহমুদ চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, আমরা এক মায়ের সন্তান হয়ে কাজ করতে চাই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতায় আমরা সংগঠনটিকে শক্তিশালী ভিত্তিতে দাঁড় করাতে চাই। আমাদের কাজ হবে সমাজের উন্নয়নে কিছু করা, যা সমাজের সার্বিক উন্নতির পথ প্রশস্ত করবে। উপদেষ্টা মাওলানা সৈয়েদ মনাজের আহসান তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই সংগঠনের সদস্যরা যেন সততা, ন্যায়পরায়ণতা এবং দেশপ্রেমের মধ্যে দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন। সংগঠনটি যেন পবিত্র আল কোরআন ও সনদ অনুযায়ী পরিচালিত হয় এবং সমাজের উন্নয়নে একটি সফল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন তরুণদের জন্য একটি আদর্শ হতে হবে, যা সমাজের মধ্যে পরিবর্তন আনতে সহায়ক হবে। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠান একটি নতুন দিনের সূচনা। আমাদের লক্ষ্য সমাজের প্রতিটি শ্রেণিকে একত্রিত করে এক শক্তিশালী এবং সুশৃঙ্খল সমাজ গড়ে তোলা। আমরা বিশ্বাস করি, তরুণ প্রজন্মই পারে সমাজের উন্নয়ন এবং পরিবর্তন আনতে। আমাদের ফাউন্ডেশন কেবল একটি সামাজিক সংগঠন নয়, এটি একটি চলমান আন্দোলন, যেখানে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে আমাদের সবার জন্য উন্নতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু সমাজের কল্যাণে কাজ করা নয়, বরং সবার মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ এবং দেশের প্রতি দায়বদ্ধতার বোধ সৃষ্টির মাধ্যমে একটি সুন্দর ভবিষ্যত গঠন করা। সাংবাদিক জাহেদ আলম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, তরুণরা সমাজের পরিবর্তন সাধনে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। তোমরা প্রতিটি পদক্ষেপে সততা, সতর্কতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে, যাতে সংগঠনটি সফলতার দিকে এগিয়ে যায় এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশনের সদস্যরা ইতিমধ্যে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছেন। তাদের লক্ষ্য সমাজে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করা এবং সমস্যাগুলির সমাধানে কাজ করা। সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন: সেলিম খান বাপ্পি, আবদুল্লাহ আল নোমান, মোঃ আবছার, মোহাম্মদ নুরুল আবছার, হারুন উর রশিদ হারুন, মোঃ সৈয়দ আমিন, হাফেজ আরিফ সিকদার, হাফেজ মোহাম্মদ ফোরকান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সালাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ মিজান, মোঃ রিফাত, মাওলানা শাহাব উদ্দিন, হোসাইন জাহাঙ্গীর, মো: নুরুল আমিন। উখিয়া ঐক্য ফাউন্ডেশন আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে, যেখানে তরুণরা সমাজের জন্য ভালো কাজের মাধ্যমে এক শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড়াবে। সংগঠনটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং কর্মসূচি সবার মধ্যে নতুন আশার আলো জ্বালাবে এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এক নতুন সমাজ গঠিত হবে। তাদের লক্ষ্য হলো সামাজিক যোগাযোগ স্থাপন, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং সমাজে মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। শেষে, এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি মহান আল্লাহ তায়া’লার নিকট প্রার্থনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category